মাত্র ১৮৮ টাকায় ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার যাওয়া যাবে। মূলত মেইল ট্রেনে সর্বনিম্ন এ ভাড়ার সুবিধা পাওয়া যাবে। রেল সচিব হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হচ্ছে ১৮৮ টাকা। এটি হবে নন এসি মেইল ট্রেন। সর্বোচ্চ ভাড়া এসি বার্থে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। বর্তমানে রেলের যে ভাড়ার হার আছে, সেই অনুযায়ী তা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রেনের সময়সূচি
এদিকে বাংলাদেশ রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসান জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে একটি মেইল ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে, কক্সবাজারে পৌঁছাবে ৬টা ৩০ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে এই রুটে ট্রেন বাড়ানো হবে।
নতুন রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করেন।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ডিসেম্বর থেকেই ঢাকা-কক্সবাজার পথে একটি ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চালানো হবে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে চলাচল করতে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৫টাকা
ট্রেন চালুর পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে চলাচল করতে সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা আর সর্বোচ্চ ৬৯৬ টাকা গুণতে হবে যাত্রীদের। এছাড়া শোভন চেয়ারে (নন-এসি) দিতে হবে ২০৫ টাকা। যা বাসের ভাড়ার অর্ধেক। বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথে চলাচলকারী নন এসি গেটলক বাসগুলো ৪৫০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকে। এসির ভাড়া বাস ভেদে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে কোম্পানিগুলো।
সময় লাঘব করল ঢাকা-কক্সবাজার রেল প্রকল্প
দেশে লোকাল, মেইল, কমিউটার ও আন্তনগর—এই চার ধরনের ট্রেন চলাচল করে। যাদের মধ্যে ভাড়ার হার কমবেশি আছে। লোকাল ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা। আন্তনগরে তা ৩৫ টাকা। তবে সেতু ও উড়ালপথ থাকলে সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়ে।চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ১৫০ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। তবে বাণিজ্যিক দূরত্ব হচ্ছে ১৮৯ কিলোমিটার। মূলত ৬টি সেতুর জন্য এই বাড়তি ৩৮ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দূরত্ব ধরা হয়েছে। একে রেলওয়ে পন্টেজ চার্জ বলা হয়।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এসি বার্থ শ্রেণির জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৬ টাকা। শোভন চেয়ারের জন্য ২০৫ টাকা, এসি চেয়ারের জন্য ৩৮৬ টাকা এবং এসি সিটের জন্য ৪৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লোকাল ট্রেনের জন্য (দ্বিতীয় সাধারণ শ্রেণির আসন) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ভাড়া ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা। মেইল ট্রেনের জন্য ৭০ টাকা। এ ছাড়া কমিউটার ট্রেনে করে গেলে দিতে হবে ৮৫ টাকা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার ও রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার। ট্রেনে ঢাকা-কক্সবাজার নতুন দিগন্তের পথ উন্মোচন করল।
Discover more from দৈনিক সংবাদ
Subscribe to get the latest posts sent to your email.