ভারতীয় কয়েকটি রাজ্য মনে করছে, গোলাপি রঙের ছোটদের মিষ্টি ট্রিট হাওয়াই মিঠাই খেলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে কারণে জনপ্রিয় এ পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ পণ্যটির কিছু নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপকরণ রোডামাইন-বি রয়েছে বলে নিশ্চিত হন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।
এ খবরের পরই গত সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে।
চলতি মাসের শুরুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে পণ্যটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এর পরই নড়েচড়ে বসে অন্যান্য রাজ্যের প্রশাসন। ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্য পণ্যটি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। পণ্যটির অবয়বের কারণে এটিকে কেউ সুতিক্যান্ডি, কেউ তুলার ক্যান্ডি কেউবা আবার স্থানীয় ভাষায় ‘বুড়ি-কা-বাল’ (বৃদ্ধ মহিলার চুল) নামে ডেকে থাকে।
চিত্তবিনোদন পার্ক, মেলা ও শিশুপরিবেষ্টিত বিভিন্ন এলাকায় এ পণ্যটি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। মুখে দিলেই মিষ্টি এ খাবার গলে যায় বলে শিশুরা এটিকে বেশি পছন্দ করে। কিছু ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মিষ্টি খাবারটি যতটা মনে হচ্ছে— তারচেয়ে বেশি ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক।
তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা পি সতীশ কুমার দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘এ খাবারে যে দূষিত পদার্থ রয়েছে, তা থেকে ক্যান্সার হতে পারে। এমনটি ওই পদার্থ শরীরের যে কোনো অঙ্গের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে তারা শহরের সমুদ্রসৈকতে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের ধরতে অভিযান চালিয়েছেন।
কারণ তারা যে কারখানায় এ পণ্যটি তৈরি করেন, সেটির কোনো অনুমোদন নেই। তা ছাড়া এতে গোলাপি আভা তৈরি করতে যে রঙ ব্যবহার করা হয়, সেটি টেক্সটাইল, প্রসাধনী এবং কালি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এ রাসায়নিকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে ইউরোপ-আমেরিকায় এটিকে খাদ্যরঞ্জক হিসাবে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
Discover more from দৈনিক সংবাদ
Subscribe to get the latest posts sent to your email.